ভালবাসার দিনে, ভালবাসার গানে “মাসুদ আহমেদ”!

image

বিনোদন বাজার 24 ডেস্ক:
আটপৌরে ছেলেটি!!! বাসায় গান শোনার কোন তৈজসপত্র না থাকায়, গান শোনতে পাড়ি জমাতো তেরো নদী আর সাত সমুদ্রের ওপারে।কখনও বোনদের বাসায় কখনও বন্ধুদের অথবা প্রতিবেশির বাসায়।রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে থেকে গান শোনার অভ্যাসও তার রপ্ত। আর সিডি কিংবা ক্যাসেটের দোকানের সামনে গেলেতো ছেলেটি হয়ে য়ায় স্ট্যাচু অব দ্যা লিবার্টি!

এমনই গান পাগল ছেলেটির লেখালেখি শুরু হয় সেই ছোট বেলা থেকেই! মজার কোন ছড়া কিংবা কোন কবিতার লাইন দিয়ে নয়, কাগজ আর কলমের সাদা’কালো সখ্যতা শুরু হয় গান দিয়েই!!!

গান নিয়ে একটা কিছু করার স্বপ্ন…
রাত দিন তাড়া করত ঘুম কিংবা জাগরনে!
গান নিয়েই পায়চারি কারন কিংবা অকারনে!

সুর আর যন্ত্রের অমোঘ টানে ২০০৭ সালে ঢাকায় পা রাখা!চিলে কোঠার একটি ঘরের চার দেয়ালের ভালবাসায় তার গান লেখার কারখানা। বিছানার পাশেই একটি গিটার। রাত গভীর হলে সবাই যখন ব্যস্ত ঘুমে ঠিক তখনই ছেলেটির ছয় তারের টুংটাং আর নতুন কোন গান!

মাসুদ!
পুরোনাম “মাসুদ আহমেদ”।পথ চলার প্রথম দিকে তেমন কোন দিক নির্দেশনা না থাকায় নিজের লেখা গানে নিজেরই মুগ্ধতা আসতো না। সেই সময়টা সম্পর্কে স্মৃতি চারনে মাসুদ বলেন ……
‘‘আমি নীল আকাশের নিচে রাজপথ ধরে হাটতাম। আর খুঁজতাম এমন কাউকে যে আমার লেখার জগতটাকে/ভাবনার রাজ্যটাকে/শব্দ ভান্ডারটাকে আরো শানিত করবে! জানিনা কি ভাবে কি হলো একজনকে পেলাম প্রানের স্বনিকটে। তার ছায়ায় আমি পুরনো খোলস ভেঙে বেড়িয়ে এলাম।আজও আছি তার হৃদপিন্ডের কাছেই।আমার বড় ভাই, বন্ধু, অভিভাবক সাংবাদিক নীল মাহাবুব।’’
image

কুমিল্লার ছেলে মাসুদ আহমেদ। বর্তমানে পড়াশুনা করছেন অনার্স ফাইনাল ইয়ারে(মার্কেটিং)। তরুন পজন্মের এই উঠতি গীতিকার হৃদয়ে ধারন করে রেখেছেন লাল সবুজ এবং লালন করেছেন তারুন্য। খরগোশ আর কচ্ছপের গল্পে কচ্ছপেই মন্ত্রজপে ছিলেন তিনি। তাইতো দীর্ঘ সময়টাকে মাসুদ বেছে নিয়েছিলেন নিজেকে তৈরি করার,শব্দের ভীড়ে হারিয়ে যাবার।মাঝের সময় গুলোতে দরজার চৌকাঠ পেরিয়ে বিছিন্ন ২/১ টি কাজ করলেও পুরোপুরি নিজেকে সপে দেওয়া হয়নি শব্দর বুনটে।

অনেক চড়াই উতড়াই পেরিয়ে অবশেষে শব্দের বুনটে তৈরি করলেন গানের কথা! সেই কথায় প্রাণ দিলেন সুর এবং যন্ত্রর যুগল বন্দিতে। আর এই যুগল বন্দি উদ্যোগে তাকে সাহস উৎসাহ, প্রেরণা এবং কাছের মানুষ হিসেবে সহযোগিতার প্রশ্রয় দিয়েছেন শ্রদ্ধাভাজন সেই দুজন যুগল হলেন সজীব দাস এবং এফ.এ.সুমন। তাদের আর্শিবাদেই আমার এই প্রয়াস। কৃতঙ্গতা তাদের প্রতি আপদমস্তক।এমনটাই তার অনুভূতি জানালেন গীতিকার মাসুদ আহমেদ!!!
আর সেই প্রচেষ্ঠার নাম …………………..‘‘তোর -ই- অনুভব’’……………………

ভালবাসার দিনে ভালবাসার গান,
মাসুদ আহমেদ- এর একক কথায় এফ.এ সুমন এবং সজীব দাস এর সুর ও সংগীতে জি-সিরিজ-এর ব্যানারে ভালবাসা দিবস উপলক্ষে রিলিজ পাচ্ছে এলবামটি।
মোট ১০ টি গান নিয়ে এলবামটি সাজানো হয়েছে। গানগুলো হলো__ তোর-ই অনুভব, দিশেহারা, আঙুল সন্ধি, জল রোদ্দুরে, রাত্রি-দিন, যাবি যা, উত্তর মিলেনা, আমি শুধু তোমারই,মন দরিয়া, প্রথম দেখায়
এলবামটিতে কন্ঠ দিয়েছেন ফাহমিদা নবী, এফ. এ. সুমন, বেলাল খান, অরিন, লুৎফর হাসান, কিশোর, আর. জে. রাজু, শশী, এস. আর. সুমন, তনুকা, সৌরভ ও কামরুল ।

      
                    _______কায়কোবাদ প্রধান (নিপু)।

“খান মাহি, রাব্বি, রেজওয়ান, সোহেল রাজ” চার তারকার আড্ডা!

image

বিনোদন বাজার 24 ডেস্ক:
ব্যাস্ত এই নগরীতে সবাই ব্যাস্ত যার যার কাজে। আর এই ব্যাস্ততার মাঝে যদি হয় একটু আড্ডা, তাহলে কেমন হয়।
আজ (কাল) বুধবার রাত ৯:০০ টায় ধানমন্ডির শঙ্গকরে এমনই এক আড্ডাবাজীতে মেতে উঠেন এই প্রযন্মের কিছু জনপ্রিয় মুখ। আড্ডায় ছিলেন এই প্রযন্মের জনপ্রিয় মডেল খান মাহি, জনপ্রিয় তরুণ সঙ্গীত পরিচালক রাব্বি ও রেজওয়ান, তরুণ পরিচালক সোহেল রাজ। গরম চায়ের চুমুকে চুমুকে শীতের রাতকে উপেক্ষা করে জমে উঠে আড্ডা।

আড্ডার মাঝে কার কি রকম ব্যাস্ততা চলছে জানতে চাইলে রাব্বি বলেন, “ভালবাসা দিবস কে সামনে রেখে কয়েকটি মিক্সড এলবামের কাজ করছি। সবগুলো গানের কথা ও সুর আমিই করেছি। রেজওয়ান কম্পোজ করেছে। গানগুলোতে কন্ঠ দেন দেশের সেরা সেরা শিল্পীরা”। রাব্বির মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে রেজওয়ান বলেন, “অনেক যত্ন নিয়ে গানগুলোর কাজ করছি। দিন রাত কাজ করতে হচ্ছে, দম ফেলানোর ফুসরত নেই। আশা করি গানগুলো সবার ভালো লাগবে” ।

কথা বলার মাঝখানে চলছে নানান রকম খুনসুটি। সবার চোখে মুখে ত্রিপ্তির হাসি।

খান মাহি ও সোহেল রাজের কাছে বর্তমান সময়ের কাজের ব্যাস্ততা কেমন জানতে চাইলে মাহি বলেন, কিছুদিন আগেই দুটি মিউজিক ভিডিওর শুটিং শেষ করলাম। গান দুটিতে কন্ঠ দিয়েছে পাবেল ও বাধন। খুব শিঘ্রই গান দুটি রিলিজ পাবে। আরো নতুন কিছু কাজ হাতে পেয়েছি, কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করব”। সোহেল রাজও ইতিমধ্যে নিজের অভিনিত ও পরিচালিত মিউজিক্যাল ফিল্ম একটি পলক গানটির কাজ শেষ করেছেন। সাথে নতুন কিছু গানের কাজে হাত দিয়েছেন।
image

একজন আরেকজনের কাজের মূল্যায়ন কিভাবে করেন এই প্রশ্নের উত্তরে সবাই একসাথে বলে উঠেন, “আমরা ভালো কে ভালো বলি, খারাপ কে খারাপ বলি। সবসময় একে অপরকে উত্সাহ দেবার চেষ্টা করি। আমরা সবাই বন্ধু। এই বন্ধুত্ব ধরে রাখতে চাই সবসময়”।

খান মাহি, রাব্বি, রেজওয়ান ও সোহেল রাজ প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে নিজেদের মেলে ধরছেন মিডিয়া জগতে । ইতিমধ্যে সবাই যার যার কাজের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এভাবেই আরো অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় এই তরুণ তারকাদের ।

বহতা নদীর মতো সময় বয়ে যায়। তেমনই আড্ডায় আর কথায় কখন যে সময় পার হয়ে গেল টেরই পাওয়া যায় নি। অবশেষে সবার বিদায়ের পালা। আড্ডায় গরম চায়ের ধুয়ো উড়ার মতো সবাই আবার যার যার কাজে ব্যাস্ত পাখায় উড়বে।

         _______কায়কোবাদ প্রধান (নিপু)।

বইমেলায় আসছেন ঈশিতা

image

বিনোদন বাজার 24 ডেস্ক:
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী-নির্মাতা ঈশিতা অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে লেখালেখিও করে থাকেন। এরই মধ্যে তার লেখা বেশ কিছু নাটক দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছে। এবার তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন একুশের গ্রন্থ মেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তার লেখা একটি গল্পের বই। জানা গেছে শব্দশিল্প প্রকাশন সংস্থা থেকে বইটি প্রকাশিত হবে। এতে বড় ধরনের একটি মাত্র গল্প স্থান পাবে। বর্তমানে ঈশিতা গল্পটি লিখছেন। দু’এক দিনের মধ্যেই লেখার কাজ শেষ হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে ঈশিতা জানিয়েছেন,’অভিনয়, পরিচালনা এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত লিখতে পারি না। যদিও আমার সব সময় লিখতে ইচ্ছা করে। এবারের বই মেলার জন্য অনেক আগেই গল্পটি লেখার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু নানামুখী ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। শেষ মুহূর্তে এসে অনেকটা তাড়াহুড়ো করে লেখার কাজ শেষ করতে হচ্ছে। আশা করি, মেলার দ্বিতীয় সপ্তাহে বইটি পাঠকদের হাতে তুলে দিতে পারবো।’ উল্লেখ্য,গত বছরের একুশের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল ঈশিতার লেখা ‘নিরবে’ গল্পগ্রন্থটি। বইটি ব্যাপক পাঠক প্রিয়তা লাভ করে। সেটিও প্রকাশিত হয়েছিল শব্দশিল্প থেকে।

ভালোবাসা দিবসে পলাশ স্ট্যানলি’র “বন্ধুত্ব”!

image

বিনোদন বাজার 24 ডেস্ক:
গানের মানুষ, প্রাণের মানুষ তিনি। গানের সাথে কাটিয়েছেন জীবনের অনেকগুলো বছর। গানে গানে ছুঁয়ে যেতে চান শ্রোতাদের মনের গোপন অঞ্চল। কন্ঠে যার ভালোবাসা নিরন্তর । তিনিই পলাশ স্ট্যানলি ।

দীর্ঘ ২৫ বছর তার যাদুকরী আঙ্গুল ছুঁয়ে গেছে কীবোর্ডের প্রতিটি কর্ড, যত্নের সাথে বাজিয়েছেন কীবোর্ড । “ইভ এঞ্জেল_Eve Angel” নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেছিলেন । একটি পর্যায় এসে ব্যান্ডটি ভেঙ্গে যায়, তারপরই মনযোগ দেন নিজের একক এলবামে।

সামনে ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট’র ব্যানারে রিলিজ পেতে যাচ্ছে পলাশ স্ট্যানলি’র একক এলবাম “বন্ধুত্ব” । এলবামটির সবকটি গানের সঙ্গীতায়োজন করেছেন সাইফ ও ডিউক। অসাধারণ কিছু কথা ও সুর দিয়ে এলবামটি সাজিয়েছেন লিটন, প্রদীপ, ডিওক ও আশিক। মোট ১০ টি গান নিয়ে এলবামটি সাজানো হয়েছে । গানগুলো হলো_ ভালোবাসলে মানুষ, পাশে ছিলাম, ভরে গেছে অশ্রুতে, জোনাক জলা রাতে, পথে যদি, পুরনো ডায়রী, ইশারা বুঝে নাও বন্ধু, ভালোবাসার মাতাল হাওয়া।

বিনোদন বাজারের মুখোমুখি হয়ে পলাশ বলেন, “অনেক সময় নিয়ে গানগুলো করেছি, খুব যত্ন নিয়ে কন্ঠ দিয়েছি গানগুলোতে। প্রতিটি গানের কথা ও সুর আলাদা আলাদা। আশা করি শ্রোতারা মনের মতো কিছু গান পাবেন”।

উল্লেখ্য, খুব শীঘ্রই “বন্ধুত্ব” এলবামের কয়েকটি গানের মিউজিক ভিডিও রিলিজ পাবে।

                       _____কায়কোবাদ প্রধান (নিপু)।

Watch “EKAKI JIBON BY ADITYA RAYHAN (FULL HD)” on YouTube

গান: একাকী জীবন ।
গায়ক: আদিত্য রায়হান।
কথা ও সুর্: রাব্বী।
সঙ্গীত : রেজওয়ান।
মডেল: খান মাহি ও সানি।
পরিচালনা : খান মাহি।
ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর : সোহেল রাজ।

ভাষার নাটকে দিনার-বিজরী

image

বিনোদন বাজার 24 ডেস্ক:
জনপ্রিয় নাট্যদম্পতি ইন্তেখাব দিনার ও বিজরী বরকতউল্লাহ। বিয়ে করেছেন গত পহেলা বৈশাখে। বিয়ের পরও জুটিবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি নাটকে। এবারো একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নতুন নাটকে অভিনয় করেছেন এ দম্পতি।
অনামিকা মণ্ডলের রচনায় ও তুহিন হোসেনের পরিচালনায় ‘আমার একুশ’ নাটকে অভিনয় করেছেন দিনার ও বিজরী। নাটকে স্বামী স্ত্রী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তারা।
ইন্তেখাব দিনার বলেন, “আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ৯ মাস। বিজরীকে পেয়ে আমি শতভাগ সুখী। অভিনয়ে আসার আগে থেকেই আমি তার অভিনয়ের ভীষণ ভক্ত। তার অভিনয়ের প্রতি আমার মুগ্ধতা এখনো আছে। যেমন আছে ব্যক্তি বিজরীর প্রতিও। অন্যদিকে আমাদের অভিনয়ের সমালোচনাটা আমরা নিজেরাই করি।”
বিজরী বরকতউল্লাহ বলেন , “মানুষ হিসেবে দিনার অনেক উঁচু মানের। তার ভেতর এমন কিছু গুণাবলী আছে যা অনেকের মাঝেই পাওয়া যায় না। তার সততাই প্রতিনিয়ত আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করে। এক জন শিল্পী হিসেবে সে আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু। তার যে গুণটাকে আমি বেশি হিংসা করি তা হচ্ছে, দিনার একবার একটি স্ক্রিপ্ট পড়লে তার মুখস্থ হয়ে যায় যা আমি কখনোই পারি না।”
ঘাসফড়িং প্রযোজিত ‘আমার একুশ’ নাটকটি এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ২১ ফেব্রুয়ারিতে প্রচারিত হবে। তবে কোন চ্যানেলে প্রচার হবে তা এখনো ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।
দিনার এবং বিজরী প্রথম একসাথে অভিনয় করেন ‘বন্ধন’ নাটকে। এ নাটকে বিজরীর দেবর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দিনার। এরপর তারা দুজন একসাথে ‘কাছে দূরে’, ‘ স্পর্শের বাইরে’সহ বেশ কয়েকটিয় নাটকে অভিনয় করেন। সর্বশেষ তারা জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন ‘কালান্তর’ নাটকে।

ভালবাসা দিবসে “লুৎফর হাসান”।

image

বিনোদন বাজার 24 ডেস্ক:
গানের মানুষ, প্রাণের মানুষ তিনি। গানে গানে শ্রোতাদের মনের গোপন অঞ্চল ছুঁয়ে যেতে চান সব সময়। কন্ঠে যার ভালবাসা নিরন্তর। তিনিই লুৎফর হাসান।

‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’ খ্যাত এ প্রজন্মের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার লুৎফর হাসান এবারের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে নিজের সুরের দুটি অ্যালবাম এবং নিজের গাওয়া গান নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হচ্ছেন। লুৎফর হাসানের সুরে দুটি অ্যালবাম হচ্ছে ‘আমায় নিয়ে চলো’ ও ‘তুই এবং তোকে’। ‘আমায় নিয়ে চলো’ অ্যালবামটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন রাজীব হোসেন এবং ‘ তুই এবং তোকে’ র সঙ্গীতায়োজন করছেন সুমন কল্যাণ। ‘আমায় নিয়ে চলো’ অ্যালবামে গান গেয়েছেন কাজী শুভ, নওমী, তৌসিফ, লিজা, বেলাল খান, কর্ণিয়া, এম এস রানা, ফারাবি, ইমরান ও পূজা। অন্যদিকে ‘তুই এবং তোকে’ অ্যালবামটিতে গেয়েছেন আসিফ আকবর, ইমরান, কাজী শুভ, বিউটি, লিজা, আফরিন সুমী, শিমুল খান, মুহিন, রাজীব ও লোপা। লুৎফর হাসান বলেন , ‘আমার সুর করা দুটি অ্যালবামে এবার শিল্প এবং বাণিজ্যকে সমন্বয় করেই শ্রোতাদের ভালোলাগার মতো কিছু গান করেছি।’ এদিকে লুৎফর হাসান নিজে ছয়টি ভিন্ন মিক্সড অ্যালবামে গান গেয়েছেন। মাসুদ আহমেদ, সেজুল হোসেন, স্নেহাশীষ, রাজীব হোসেন ও আশিক বন্ধুর মিক্সড অ্যালবামেই গান গেয়েছেন তিনি। এই অ্যালবামগুলোও ভালোবাসা দিবসে বাজারে আসবে। টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ছেলে লুৎফর হাসানের জন্ম ১৬ ফেব্রুয়ারি। তার সর্বশেষ একক অ্যালবাম ‘আমার আকাশ পুরোটাই’ লেজার ভিশনের ব্যানারে বাজারে আসে। সর্বশেষ ঈগল মিউজিক থেকে গত ডিসেম্বরে বাজারে আসা তার সুরে ‘ঝিনাই বন্ধু’ অ্যালবামটিও শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই অ্যালবামে লুৎফর হাসানের নিজের গাওয়া ‘সখি’ গানটি এরইমধ্যে বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। গানটি লিখেছেন হাসিবুর রেজা কল্লোল। উল্লেখ্য, ‘আমায় নিয়ে চলো’ অ্যালবামটি বাজারে আসবে সিডি চয়েজের ব্যানারে এবং ‘তুই এবং তোকে’ আসবে ঈগল মিউজিকের ব্যানারে। দুটি অ্যালবামে গান লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ, এ মিজান, সেজুল হোসেন, হাসিবুর রেজা কল্লোল, হেলাল ওয়াদুদ, ফারহানা শায়লা। লুৎফর হাসানের লেখা পাঁচটি উপন্যাস বাজারে আছে। এবারের বইমেলাতে তার ব্যক্তিগত জার্নাল ‘ঘাসফুল ও সন্ধ্যা মালতীরা’ প্রকাশ পাচ্ছে ভাষাচিত্র থেকে।

“শুধু তুমি” নিয়ে পাবেল!

image

বিনোদন বাজার 24 ডেস্ক:
গানের মানুষ, প্রাণের মানুষ তিনি। গানে গানে শ্রোতাদের মনের গোপন অঞ্চল ছুঁয়ে যেতে চান সব সময়। কন্ঠে যার ভালবাসা নিরন্তর, তিনি এই প্রযন্মের তরুণ সঙ্গীতশিল্পী ‘পাবেল’।

খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে যাচ্ছে সঙ্গীতশিল্পী পাবেল’র নতুন মিউজিক্যাল ফিল্ম “শুধু তুমি”। ২৪ জানুয়ারী মিউজিক্যাল ফিল্মটির কাজ শুরু করা হবে। গানটির সুর ও সঙ্গীতে রয়েছেন মশিউর বাপ্পী। কথা সাজিয়েছেন নাসিফ অনি।

বিনোদন বাজারের মুখোমুখি হয়ে পাবেল তার গান ও ভিডিও সম্পর্কে বলেন, “অনেক যত্ন নিয়ে গানটিতে কন্ঠ দিয়েছি। শ্রোতাদের জন্য কাজ করা। গানটি নিয়ে আমি খুব আশাবাদী । আশা করি গান ও ভিডিও দুটিই খুব উপভোগ করবেন সবাই”।

জনপ্রিয় মডেল ও পরিচালক খান মাহির পরিচালনায় “শুধু তুমি” গানটির মডেল হিসেবে থাকছেন খান মাহি নিজেই। মিউজিক ভিডিও সম্পর্কে মাহি বলেন, “অসম্ভব সুন্দর একটি গল্প এটি। ভিডিওটির প্রতিটি মুহুর্ত দর্শকরা খুব উপভোগ করবেন। গতানুগতিক ধারার বাইরে কিছু গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ভিডিওটি। ফিঙ্গার প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যানারে মিউজিক্যাল ফিল্মটি রিলিজ পাবে”।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে পাবেলের গাওয়া কিছু মিক্সড এলবাম বাজারে এসেছে এবং তা শ্রোতাদের মনে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ‘শুধু তুমি’ গানটি থাকছে পাবেলের একক এলবাম “শুণ্য হ্রিদয়” এলবামে। এলবামটি ভালবাসা দিবসে রিলিজ পেতে পারে।

                         ______কায়কোবাদ প্রধান (নিপু)।

“দহন” নিয়ে ঢালিউডে প্রবেশ খান মাহি’র।

image

বিনোদন বাজার 24 ডেস্ক:
লাইট-ক্যামেরা-রোলিং-একশন! এই কথা গুলো মিলেই একজন পরিচালক, কাজ করেন পর্দার পিছনে। আর তা ফুটিয়ে তুলেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। আবার কেউ কেউ পরিচালনা ও অভিনয় এই দুই মাধ্যমেই নিজেকে ফুটিয়ে তুলেন সুনিপুণ ভাবে।
image

পরিচালনা ও অভিনেতা এই দুই মাধ্যমেই ঢালিউড জগতে (বাংলা চলচ্চিত্র) অভিষেক হতে যাচ্ছে জনপ্রিয় মডেল খান মাহি’র। ছায়াছবির নাম রাখা হয়েছে “দহন”। একশন ও রোমান্টিক ধাচের একটি ছবি এটি। কিছুদিন আগেই “দহন” ছবির শুটিং শুরু করা হয়েছে। ছবিতে অভিনয় করছেন খান মাহি, সেজুতি, অবিদ রেহমান, শিমুল খান, সোহেল রাজ সহ আরো অনেকে। image

বর্তমান বাংলা মিউজিক ভিডিও জগতে একক ভাবে রাজত্ব করা মডেল খান মাহি তার চলচ্চিত্রে প্রবেশ সম্পর্কে বলেন, “মিডিয়া জগতে আসার প্রধান উদ্দেশ্যে ছিল বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করা। অভিনয় ও পরিচালনা দুটোই চালিয়ে যেতে চাই সমান তালে। হতে চাই একজন একশন হিরো। পুরোদস্তুর ভাবে চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই। তাই মিউজিক ভিডিও করে নিজের কাজের দক্ষতা ও গ্রহনযোগ্যতা ঝালিয়ে নিলাম। গতানুগতিক ধারার বাইরে ও কিছু টনকনড়া কাহিনী নির্ভর চলচ্চিত্র “দহন”। একশন ও রোমান্টিক দুটোই পাবে দর্শকরা। আশা করি দর্শকরা ভালো কিছু পাবে।”

                        _______কায়কোবাদ প্রধান নিপু।

সুচিত্রা সেনের জীবনাবসান

image

বিনোদন বাজার 24:
কলকাতা: বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি তুল্য মহানায়িকা সুচিত্রা সেন চলে গেলেন না ফেরার দেশে। শুক্রবার কলকাতার স্থানীয় সময় সকাল আটটা ২৫ মিনিটে বেলভিউ হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয় সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর খবরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
image

শ্বাসকষ্টের কারণে গত ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুচিত্রা সেনকে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তিনি সর্দি, জ্বর, কাশি আর শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। হাসপাতালে ডা. সুব্রত মৈত্রের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সুচিত্রা সেন।

ওপার কিংবা এপার-দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয়তা পাওয়া এ অভিনেত্রীর বর্ণাঢ্য চলচ্চিত্র জীবনের পর একটা পর্যায়ে হয়ে যান লোক চক্ষুর আড়াল। দর্শকের মনিকোঠায় এক অনন্ত যৌবনা নায়িকা হিসাবে স্থান করে নেন  তিনি। এই জন্যই হয়ত তিনি কোন ফটোসাংবাদিকের সামনে নিজের চেহারা দেখাতে চাননি কখনো।
image

সুচিত্রা সেন ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। বিশেষ করে উত্তম কুমারের সাথে অভিনয়ের কারণে তিনি সারা বাংলায় ব্যাপক জনপ্রিয় হন। উত্তম-সুচিত্রা জুটি আজও বাংলা চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ জুটি হিসেবে পরিচিত।

তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে কোন আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পান।  সাত পাকে বাঁধা ছবির জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।

চলচ্চিত্র জীবন : ১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। পরবর্তী বছরে উত্তম কুমারের বিপরীতে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। ছবিটি বক্স-অফিসে সাফল্য লাভ করে এবং উত্তম-সুচিত্রা জুটি উপহারের কারণে আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন। বাংলা ছবির এই জুটি পরবর্তী ২০ বছরে ছিলেন আইকন স্বরূপ।
image

১৯৫৫ সালের ‘দেবদাস’ ছিল তার প্রথম হিন্দি ছবি। উত্তম কুমারের সাথে বাংলা ছবিতে রোমান্টিকতা সৃষ্টি করার জন্য তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বিখ্যাত অভিনেত্রী। ১৯৬০ ও ১৯৭০ দশকে তার বেশকিছু অভিনীত ছবি মুক্তি পেয়েছে।

স্বামী মারা যাওয়ার পরও তিনি অভিনয় চালিয়ে গেছেন, যেমন হিন্দি ছবি আন্ধি। এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বলা হয় যে চরিত্রটির প্রেরণা এসেছে ইন্দিরা গান্ধী থেকে। এই ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং তার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জীব কুমার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন।

১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এর পর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায়  ব্রতী হন।

২০০৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য সুচিত্রা সেন মনোনীত হন, কিন্তু ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সশরীরে পুরস্কার নিতে দিল্লী যাওয়ায় আপত্তি জানানোর কারণে তাকে পুরস্কার দেয়া হয়নি।

তার মেয়ে মুনমুন সেন এবং নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

তার অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা : সাড়ে  চুয়াত্তর (১৯৫৩), ওরা থাকে ওধারে (১৯৫৪), অগ্নিপরীক্ষা (১৯৫৪), শাপমোচন (১৯৫৫), সবার উপরে (১৯৫৫), সাগরিকা (১৯৫৬), পথে হল দেরি (১৯৫৭), হারানো সুর (১৯৫৭), দীপ জ্বেলে যাই (১৯৫৯), সপ্তপদী (১৯৬১), বিপাশা (১৯৬২), চাওয়া-পাওয়া, সাত-পাকে বাঁধা (১৯৬৩), শিল্পী (১৯৬৫), ইন্দ্রাণী (১৯৫৮), রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত (১৯৫৮), সূর্য তোরণ (১৯৫৮), উত্তর ফালগুনি (১৯৬৩) (হিন্দিতে পুনঃনির্মিত হয়েছে মমতা নামে), গৃহদাহ (১৯৬৭), ফরিয়াদ, দেবী চৌধুরানী (১৯৭৪), দত্তা (১৯৭৬), প্রণয় পাশা প্রভৃতি।